সবাই কেমন আছেন আর মাত্র কয়েক দিন বাকী ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ২১ জুন থেকে
বিক্রি হতে পারে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট। ২৫ জুন পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
টিকিট বিক্রি করা হবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ১৫ জুন এ
বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
জানা গেছে, অন্যান্য বছর ঈদের পাঁচদিন আগে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু
হয়। তবে এবার ১০ দিন আগেই এ কার্যক্রম শুরুর চিন্তাভাবনা করছে রেলওয়ে
কর্তৃপক্ষ। অবশ্য এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।
এবার ১০ দিন আগে থেকে টিকিট বিক্রির যুক্তি দেখিয়ে রেলওয়ের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, আগের নিয়ম ধরলে টিকিট বিক্রি এবং যাত্রা শুরুর মাঝখানে মাত্র ১ দিন সময় পাওয়া যায়। কারণ ৫ দিন হিসাবে টিকিট বিক্রি করলে ২৬ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত টিকিট বিক্রি চলার কথা আর যাত্রাকাল ১ জুলাই। এতে অনেক সময় টিকিট বিক্রি শেষ করা সম্ভব হয় না এবং বিক্রি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিতরা পর্যাপ্ত সময় পান না। এ ছাড়া শিডিউল অনুযায়ী টিকিট কেনায় ব্যর্থ যাত্রীরা বাড়ি ফেরায় শেষ মুহূর্তে বিকল্প ব্যবস্থা করা থেকেও বঞ্চিত হন। কারণ ট্রেনের টিকিট বিক্রির আগেই সড়ক বা অন্যপথের টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে যায়। নিজ দায়িত্বে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন তারা। তাই এবার ১০ দিন আগেই টিকিট বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে এ যুক্তির বিপক্ষেও অনেকে। তাদের মতে, অন্য সরকারি-বেসরকারি বাহনের তুলনায় মানুষের সর্বশেষ ভরসাস্থল রেল। তাই ট্রেনের টিকিট দেরিতে বিক্রির সিদ্ধান্তের পক্ষে কেউ-কেউ।
জানা গেছে, বর্তমানে রেলওয়েতে ৯২২টি কোচ আছে। ঈদ উপলক্ষে আরও ১৭০টি কোচ বহরে যোগ হবে। এদিকে রেলওয়েতে ২০৩টি লোকোমোটিভ দৈনিক চলাচল করে। ঈদ উপলক্ষে মেরামত করে আরও ২৫টি যোগ করার ঘোষণা আসে প্রতিবছর। তবে এবার নতুন বগি যোগ হচ্ছে রেলবহরে। ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে ২৭০টি নতুন কোচ কেনার কারণে এটি সম্ভব হচ্ছে। এরই মধ্যে ৭৭টি কোচ রেলবহরে যোগ হয়েছে। আরও ২০টি কোচ ঈদের আগে দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ঈদের আগে একটি নতুন আন্তঃনগর ট্রেন চালু হতে পারে। তবে নতুন ট্রেন উদ্বোধনের বিষয়টি নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সময় নেওয়ার ওপর।
No comments:
Write comments