প্রার্থনা সুস্থ রাখে শরীর


জীবন মানে কখনও সুখের নরম স্পর্শ পাওয়া, আবার কখনও দুঃখের জোয়ারে ভেসে যাওয়া। এই নিয়েই তো আমাদের রোজের জীবন।কিন্তু এসবের মাঝেও আমরা শান্ত থাকি, আনন্দে থাকি, কারণ এক অদৃশ্য শক্তি আমাদের মনের জোরকে বাড়িয়ে চলে, যে শক্তির নাম কারও কাছে আল্লাহ্‌, কারো কাছে ভগবান।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে প্রার্থনা করার সময় আমাদের মস্তিষ্ক এবং শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে থাকে যে ধীরে ধীরে ব্রেন এবং দেহের শক্তি বাড়তে শুরু করে।বেশ কিছু বছর আগে ক্লিনিকাল ফিজিওলজির বিখ্যাত প্রফেসর ডাঃ লিসা মিলার একটি গবেষণা চলাকালীন লক্ষ করেছিলেন।
এক যোগে সৃষ্টিকর্তার কাছে নিয়মিত প্রর্থনা করলে ব্রেনের ভেতর থাকা কর্টিসেস শক্তিশালী হতে থাকে।ফলে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে থাকে। এখানেই শেষ নয়, প্রার্থনা করলে আরও অনেক ফল পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১। মানসিক চাপ দূর করেঃ আমাদের সবারই জানা আছে যে, মানসিক চাপ বা স্ট্রেস হল অনেকটা বিষের মতো, যা ধীরে ধীরে আমেদের শেষ করে দেয়। সেই সঙ্গে ডেকে আনে হাজারো জটিল রোগকে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে রক্ষা করতে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, প্রার্থনা করার সময় ব্রেনের ভেতর বেশ কিছু উপকারি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে স্ট্রেস লেভেল কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বডি স্ট্রেসও কমে যায়। ফলে শরীর এবং মন চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
২। হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমায়ঃ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে প্রার্থনা করার সময় আমাদের শরীরে রক্তের প্রবাহের পাশাপাশি আরও এমন কিছু পরিবর্তন হয় যে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি কোনও ধরনের করনোরি আর্টারি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, আলসার এবং মাইগ্রেনের মতো সমস্যা ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
৩। মন সারাক্ষণ হাসিখুশি থাকেঃ দিনের যে কোনও সময়ে এক মনে প্রার্থনা শুরু করুন। দেখবেন যতদিনই বাঁচুন না কেন, খুশির গ্রাফ কখনও নিম্নমুখি হবে না। আসলে প্রার্থনা করার সময় আমাদের মস্তিষ্কের অন্দরে “ডোপেমাইন” নামক এক ধরনের ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে নিমেষে মন খুশি হয়ে যায়। সেই সঙ্গে মানসিক শান্তিও ফিরে আসে।
৪। রোগীরা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেঃ যে কোনও অপারেশনের পর যদি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে চান, তাহলে নিয়মিত প্রার্থনা করা জরুরী। কারণ বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে প্রাথর্না করলে শরীরের ক্ষত সারানোর প্রক্রিয়াটি খুব তাড়াতাড়ি হয়ে থাকে। ফলে যে কোনও ধরনের ক্ষত সারতে সময় লাগে না।
৫। রোগ-বালাই দূরে থাকেঃ একটু আজব লাগলেও একথা বিশেষজ্ঞরাও মেনে নিয়েছেন যে, প্রার্থনা করার সময় কোনও এক অজানা কারণে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। আর একবার ইমিউনিটি বেড়ে গেলে কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

Comments

Popular posts from this blog

Buet Engineering Admission Test Question with Solve

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের অনলাইনে আবেদনের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

National University Honours admission Result 2015-2016