অর্জুনের যত উপকারিতা
কোথাও মচকে গেলে বা আঘাত লাগলে কাঁচা
অর্জুনের ছাল এবং সমপরিমাণ কাঁচা রসুনের সঙ্গে বেটে পেস্ট করে ওই পেস্ট
ব্যথার স্থানে পাঁচ-সাত দিন লাগালে ব্যথা-বেদনা সেরে যায়।
মুখে
মেছতার দাগ দূর করতে কাঁচা অর্জুনের ছাল পরিমাণ মতো কাঁচা দুধের
সঙ্গে বেটে তাতে সামান্য মধু মিশিয়ে নিয়মিত এক মাস মেছতায় লাগালে মেছতার
দাগ দূর হয়। হৃদপিণ্ডের করোনারি আর্টারিতে প্রতিবন্ধকতার কারণে রক্ত
সঞ্চালনে সমস্যা দেখা দিলে ১০ গ্রাম পরিমাণ অর্জুন ছাল ছেঁচে রস করে
প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা খালি পেটে ১৫-২০ দিন সেবন করলে প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে
রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়।
বুক
ধড়ফড়ানিতে ৮-১০ গ্রাম কাঁচা ছালের রস অথবা ৫ গ্রাম শুকনো ছাল ৩ কাপ গরম
পানিতে ভিজিয়ে জ্বাল দিয়ে অর্ধেক হলে ছেঁকে সকালে ও সন্ধ্যায় খালি পেটে এক
মাস সেবন করলে বুক ধড়ফড়ানি কমে যায়। যক্ষ্মায় অর্জুন ছালের চূর্ণ ১ চা
চামচ, বাসকপাতার রস ৪ চা চামচ একত্রে ঘি দিয়ে ভেজে তাতে মধু ২ চা চামচ
মিশিয়ে সকালে ও সন্ধ্যায় খালি পেটে তিন মাস সেবনে উপকার পাবেন।
মহিলাদের
শ্বেতপ্রদর অথবা রক্তপ্রদরে ১০ গ্রাম কাঁচা ছাল ছেঁচে রস করে ১ কাপ গরম
দুধ এবং ২ চা চামচ কাঁচা হলুদের রসের সঙ্গে একত্রে গরম করে সকালে ও
সন্ধ্যায় ১৫ থেকে ২০ দিন সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে দুই মাস
খেতে হবে। লো প্রেসারে ৫ গ্রাম পরিমাণ শুকনো ছাল চূর্ণ ৩ কাপ গরম পানিতে ১২
ঘণ্টা ভিজিয়ে জ্বাল দিয়ে ৩ ভাগের ১ ভাগ হলে তাতে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে
সকালে ও সন্ধ্যায় খালি পেটে ১০ দিন সেবন করলে রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে যায়।
পুরনো
ক্ষতে অর্জুনের ছাল পানিতে সিদ্ধ করে ওই পানি দিয়ে ক্ষত ধুয়ে ক্ষতস্থানে
শুকনো অর্জুনের মিহি চূর্ণ ছড়িয়ে দিলে ১০-১৫ দিনের মধ্যে ক্ষত শুকিয়ে যায়।
রক্ত আমাশয়ে ৫ গ্রাম অর্জুন ছালের ক্বাথের সঙ্গে ১ কাপ ছাগলের দুধ মিশিয়ে
সকালে ও সন্ধ্যায় খালি পেটে ২ সপ্তাহ সেবনে উপকার মেলে।
ব্যথায়
টনটন করছে অথচ ফোড়া পাকছে না। এ ক্ষেত্রে অর্জুনপাতার রস ফোড়ার চারপাশে
মেখে একটি কাঁচা পাতা দিয়ে ফোড়া ঢেকে রাখলে দ্রুত তা পেকে ফেটে যায়।
হার্নিয়ার রোগীরা অর্জুনের পাকা ফল সুতা দিয়ে কোমরে দুই মাস বেঁধে রাখলে
উপকার পাবেন।
Comments
Post a Comment