সিএনজি ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে গণস্বাক্ষর এর কি সমাধান হবে।





প্রতিবাদী মানুষের সাথে কিছু সিএনজি চালক ভাইদের সাথেও কথা হয়েছে। তারা হাসিমুখে বলেছেন দরকার হলে তারাও সাথী হবেন এর সুরাহা করার জন্য।
দেখুন আমরা একি ইউনিয়নের বাসিন্দা। সবাই একে অপরকে কমবেশ চিনি। তাই একটু মনোযোগ দিয়ে পড়বেন কোন বিভ্রান্তি ছড়ানোর আগে।
ধরুন আপনি কিংবা আপনার পরিচিত কেউ শিবগঞ্জে গেলো। সে জানে ভাড়া হচ্ছে ১০টাকা, এখন সিএনজি ওয়ালা ১৫ টাকা ভাড়া চাইতে সে যেন আকাশ থেকে পড়লো। দুইজনের মাঝে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে পরে তা হাতাহাতিতে চলে গেল। আপনিই বলেন এমনটি কি হচ্ছেনা?? এমনটা হওয়াকি উচিত!!
এবার আসি আরেকটা কথায়। আমাদের এলাকার বেশিরভাগ পুরাতন সিএনজি চালকই নিজের পরিবারের খরচ চালান। এই হিসাবে তাদের উপর আর্থিকভাবে অনেক দায়-দাবী তাদের পরিবারবর্গের। তাছাড়া অনেকেরই নিজস্ব গাড়ী নেই। তাই মালিক ইনকাম দিয়ে বাকী টাকা পরিবারের খরচাপাতিতেই চলে যায়। অন্যদিকে আমাদের এলাকার সবাই যে সম্ভ্রান্ত তাও না। যাদের ঐরকম সক্ষমতা আছে তারা বেশিরভাগই নিজের গাড়ী ব্যবহার করেন। কিন্তু ঠেকায় পড়ে যান যারা প্রতিদিন এই সিএনজি চালিত অটোরিকশায় যাতায়াত করেন। ধরুন, আপনি নিজে একটা ৫০০০-৬০০০টাকা বেতনের একটা ছোট চাকরী করেন। আপনার উপরো অনেক চাপ পরিবারের। এখন আপনি ১৫টাকা হিসাবে প্রতিদিন যাওয়া আসা করলে আপনার মাসিক খরচ দ্বাড়ায় ১৫*২*৩০=৯০০টাকা। আপনি যদি সকালে যান আর রাতে আসেন সেই হিসাব করলে (সকাল১৫+২০রাত)*৩০দিন = ১০৫০টাকা। বর্তমানে ২০টাকা ভাড়া হিসাবে আপনি সকালে ২০টাকা আর রাতে ২৫টাকা দিলে ভাড়া হয় (২০+২৫)*৩০=১৩৫০টাকা। এই ১৩৫০টাকার সাথে যদি আরো ৩০০/৪০০টাকার অন্যান্য যাতায়াত ধরি তাহলে আপনার প্রায় ১৮০০-২০০০টাকা যাতায়াত খরচই যাচ্ছে মাসে। এখন আপনার হাতে থাকে ৩০০০-৪০০০টাকা যেহেতু বাকীটা ভাড়ায় শেষ। এখন বলেন আপনি কি দিয়ে কি করবেন?
ভার্সিটিতে পড়ার সময় আমার এক বন্ধু সব সময় বলতো, "আমাকে ১৫কিলো দূরে যেতে হবে"। হ্যা আমি গোলাপগঞ্জের কথাই বলছি। সিলেট থেকে প্রায় ১৫কিলো দূরে এই গোলাপগঞ্জে আপনি যেতে লাগবে মাত্র ২০টাকা আর বন্দর থেকে আমাদের দুরত্ব ৮কিলোমিটারের মত। এ হিসাবে আমরা যেতে আসতে যে পথ পাড়ি দেই তা এক গোলাপগঞ্জের দুরুত্বের সমান এবং তার জন্য মাশুল দিতে হবে ২০+২০=৪০টাকা অর্থাৎ ডাবল।
৩টাকা গ্যাস বৃদ্ধিতে আমাদের এখানে ৫টাকা জনপ্রতি হিসাবে লিটারে কতটুকু বাড়ানো হয়েছে তা আপনারাই হিসাব করে নিন। ১২টাকা থেকে ১৪টাকা করা হলো গ্যাসের অযুহাতে। কিন্তু গ্যাসের দাম কমলে তা আর কমানো হয়না। পরক্ষনেই ভাংতি সমস্যার কারনে দ্রুত ভাড়া হয়ে গেলো ১৫টাকা। অর্থাৎ ১২টাকা থেকে ভাড়া হলো ১৫টাকা। আর এখন তা কারন ছাড়াই হয়ে গেলো ২০টাকা এক লাফ মেরেই??? শুধু তাই নয় শিবগঞ্জের ভাড়াও এক লাফে ১৫টাকায় চলে গেল?? কিভাবে?? শুধু এই রোডেই কেন ভাড়া বাড়ল? বাকী রোডের ড্রাইভারসহ সারাদেশে কেন বাড়লোনা? তাদের কি পেট নেই? তাদের পরিবার নেই? তাছাড়া আরেকটা কথা। সকালে এক ভাড়া আর রাতে আরেক ভাড়া কেন? এটা কি আর কোন রোডে দেখেছেন?
সর্বোপরি এইসব কিছুর একটা আনুষ্ঠানিক সমাধান হওয়ার জন্যই এই প্রতিবাদ। আর দিনশেষে কিংবা দিনের শুরুতে আমরা সবাই এক। অনেক কিছুর সমাধান একসাথে হয়না। একটা একটা করেই আগাতে হয়   
#খুব_ভাল_লাগলো_কথা_গুলি_তাই_দিলাম

Comments

Popular posts from this blog

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের অনলাইনে আবেদনের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

National University Honours admission Result 2015-2016

Buet Engineering Admission Test Question with Solve