হঠাৎ ভিজে যাচ্ছে ঘরের মেঝে, ভূমিকম্পের পূর্বাভাস! কেউ মিস করবেন না,,,, বেশি বেশি শেয়ার করুন।

হঠাৎ করেই ঘরের মেঝে ভিজে উঠছে। মেঝেতে জমছে বিন্দু বিন্দু পানি। প্রথমে দেখে মনে হবে যেন এইমাত্র পানি ফেলা হয়েছে ঘরের মেঝে পরিস্কারের উদ্দেশ্যে। কিন্তু বিষয়টি মোটেও এমন নয়। মূলত ভ্যাপসা গরমে স্যাঁতস্যাঁতে এমন অবস্থা হয় হবিগঞ্জের বিভিন্ন বাসা-বাড়িসহ মসজিদের মেঝ কার্ণিশের।

এ নিয়ে উৎকণ্ঠা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে। কেউ বলছেন, এ অবস্থা বড় ধরনের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস। আবার কারো কারো ভাষ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ঙ্কর রূপ। আবার কেউ কেউ এটাকে অলৌকিক কাণ্ড বলে গুজব ছড়াচ্ছেন।
গত কদিন চৈত্রের আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা আর দিনভর বৃষ্টির পর এবার শুরু হয়েছে তীব্র তাপদাহ। অসহ্য গরমে সড়ক, মাঠ বা প্রান্তর যেমন খাঁ খাঁ করছে তেমনি ঘরের মেঝে ভিজে উঠছে, পানি জমছে ঘরের কার্ণিশে।
জানা যায়, গত শুক্রবার থেকে হবিগঞ্জে তাপদাহ শুরু হয়েছে। এতে ঘরে-বাইরে চলছে চরম অস্বস্তিকর পরিবেশ। তপ্ত আগুনের হল্কায় মাথার তালু যেমনি গরম হচ্ছে ঠিক তেমনি ঘরের মেঝেও ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে পড়ছে।
শায়েস্তানগর এলাকার গৃহিনী শাহানা বেগম জানান, ভ্যাপসা গরমে ঘরে-বাইরে কান্ত-কাতর হয়ে পড়ছেন মানুষজন। সামান্য কাজ করেই মানুষজন হাঁপিয়ে উঠছেন।
পাশাপাশি ঘরের মেঝে ভিজে চুপচুপ অবস্থা। এতে বড় রকমের ভূমিকম্পের আশঙ্কায় চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।
ঘরের মেঝে ভিজে যাওয়ায় উৎকন্ঠা প্রকাশ করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ লিখেছেন-আমাদের শহরের বিল্ডিংগুলোর ফ্লোর ঘামছে, অনেক পানি জমছে, কেন এমন হচ্ছে? পরামর্শ চাই..।
অন্য একজন মন্তব্য করেছেন-বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আভাস মনে হচ্ছে। আরেকজন বলেছেন-মনে হচ্ছে ভূমিকম্প হতে পারে।
চৈত্র মাসে এরকম ভারী বৃষ্টি এর আগে কখনো হয়নি। আসলে বৈশ্বিক জলবায়ুর কারণে সব কিছুই পাল্টে যাচ্ছে। তবে বিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা। কোনো জায়গায় তাপমাত্রা বেশি হলে সেখানকার বায়ু উত্তপ্ত হয়ে ওপরের দিকে উঠে যায়। যাকে বলে জলীয় বাষ্প।
সাধারণত বাংলাদেশে গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে ভ্যাপসা গরম পড়ে এবং বেশি বেশি ঘাম হয়। এ সময় বায়ুুচাপ কম থাকে। যদি বাংলাদেশের কোনো এলাকায় ভ্যাপসা গরম পড়ে এবং ঘাম হয় তাহলে বুঝতে হবে সে এলাকায় নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে।
এ নিম্নচাপ এলাকায় অন্য কোনো উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে জলীয় বাষ্প মিশ্রিত হয়ে বায়ূ প্রবাহিত হতে থাকে। এক সময় এই বায়ুর জলীয়বাষ্প ঠান্ডায় ঘনীভূত হয় এবং মেঘ বা পানিকণায় পরিণত হয়ে বৃষ্টিপাতের সৃষ্টি করে। এ জন্য যেদিন ভ্যাপসা গরম পড়ে সেদিন ঘাম হয়। এটি বাসা বাড়ির ফ্লোর ও মসজিদ মন্দিরের কার্ণিশেও হতে পারে। এতে উদ্বীগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

Comments

Popular posts from this blog

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের অনলাইনে আবেদনের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

National University Honours admission Result 2015-2016

Buet Engineering Admission Test Question with Solve