আপনি কি ভুট্টা খান? জানেন ভুট্টার উপকারিতা কি কি? জেনে নিন এর হরেক রকম উপকারিতা..

সারা পৃথিবীতে ভুট্টা অনেক জনপ্রিয় একটি শস্য। আমেরিকা ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের প্রধান খাদ্য হচ্ছে ভুট্টা। ভুট্টা শুধুমাত্র বিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালোরিই সরবরাহ করেনা বরং ভিটামিন এ, বি, ই এবং অনেক প্রকার খনিজ ও সরবরাহ করে। উচ্চমাত্রার ফাইবারের উপস্থিতির জন্য ভুট্টা পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শরোগ ও কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ভুট্টার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্টিকারসিনোজেনিক এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং আলঝেইমার্স রোগ প্রতিরোধ করে। মানসম্মত পুষ্টিকর উপাদানের উপস্থিতির জন্য ভুট্টার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি ভুট্টা ফাইটোকেমিক্যালে সমৃদ্ধ। ভুট্টার গবেষণালব্ধ ও সুদূরপ্রসারী স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো সম্পর্কে জেনে নেই আসুন।
১। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ভুট্টা ভিটামিন সি, ক্যারোটিনয়েড ও বায়োফ্লাভোনয়েডস এ সমৃদ্ধ যা রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। জার্নাল  অফ নিউট্রিশনাল বায়োক্যামিস্ট্রির মতে, ভুট্টার তুষের তেল গ্রহণ করলে প্লাজমার এলডিএল কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমে শরীরে কোলেস্টেরলের শোষণ কমানোর মাধ্যমে।
২। অ্যানেমিয়া প্রতিরোধ করে   বেবি কর্ণে ভালো পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই ভুট্টা খেলে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয় এবং রক্তস্বল্পতা বা অ্যানেমিয়া প্রতিরোধ করে।
৩। পরিপাকের উন্নতি ঘটায় উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকে বলে ভুট্টা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। ডায়েটিশিয়ান ডা. আস্থা শর্মা বলেন, একটি গবেষণায় কোলন ক্যান্সারের রোগীদের ভুট্টা খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
৪। হাইপারটেনশন কমায় ফেনলের উপস্থিতির জন্য ভুট্টা খেলে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫। গর্ভাবস্থার জন্য অত্যাবশ্যকীয় ফলিক এসিডের চমৎকার উৎস বেবিকর্ণ এবং শিশুর ওজন বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় খুবই সাধারণ একটি অভিযোগ হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য। তাই গর্ভবতী মহিলাদের খাদ্যতালিকায় বেবিকর্ণ যুক্ত করাটা জরুরী।
৬। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ভুট্টা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। তাই ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি র‍্যাডিকেল এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৭। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে বেবি কর্ণের গ্লিসামিক ইনডেক্স কম বলে ডায়াবেটিস মেলাইটিসের জন্য উপকারি।
৮। দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায় ভিটামিন এ এর ভালো উৎস হওয়ায় ভুট্টা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে।
৯। খনিজের শক্তিশালী উৎস ছোট্ট হলুদ ভুট্টার শাঁসে এত বেশি খনিজ থাকে যা আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না! এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও কপার থাকে এবং সবচেয়ে  গুরুত্বপূর্ণ ফসফরাস থাকে যা স্বাস্থ্যকর হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয়। এই খনিজ উপাদানটি শুধুমাত্র হাড়ের ফাটল রোধ করেনা বরং কিডনির স্বাভাবিক কাজ বৃদ্ধি করে।
১০। ত্বকের যত্নে ভুট্টা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় ত্বককে দীর্ঘদিন যাবত সতেজ থাকতে সাহায্য করে। ভুট্টা খাওয়ার পাশাপাশি ভুট্টার তেল ব্যবহার ও উপকারি কারণ এতে লিনোলেইক এসিড থাকে। ভুট্টার মাড় ত্বকের চুলকানি ও র‍্যাশ প্রশমিত হতে সাহায্য করে।
১০০ গ্রাম বেবিকর্ণে আছে :  ১৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২৬ ক্যালোরি, ১ গ্রাম ফ্যাট, ২ গ্রাম প্রোটিন, ১.৬ গ্রাম ফাইবার। বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি মুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যবান থাকার জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় ভুট্টা রাখুন।

Comments

Popular posts from this blog

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের অনলাইনে আবেদনের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

National University Honours admission Result 2015-2016

Buet Engineering Admission Test Question with Solve