ওষুধ ছাড়াই জ্বর, সর্দি, কাশি থেকে মুক্তি

তবে প্রচন্ড গরমের হাত থেকে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া গেলেও বর্ষা আসায় ফের একটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের। হঠাৎ এই আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য সর্দি, কাশি, জ্বরের কবলে পড়তে হচ্ছে আমাদের। এই সময়ে বিভিন্ন ভাইরাল ইনফেকশনে ভুগতে হয় আমাদের। তবে এই জ্বর, সর্দি, কাশির চিকিৎসার বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। যা আপনার রান্নাঘরেই মজুদ থাকে।
দেখে নিন বর্ষাকালে এরকম সমস্যা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়গুলি-
১) রসুন- বলা হয় রসুনের থেকে ভালো ওষুধ আর হয় না। রসুনের গুণাগুণ অনেক। ভাইরাল ফিভার, ঠান্ডা লাগার মতো অসুখের প্রতিরোধ করতে রসুন খুব উপকারী। শুধু ঠান্ডা লাগাই নয়, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রন কোলেস্টেরল, হার্ট অ্যাটাক এবং স্টোক প্রতিরোধেও রসুন খুব কাজে দেয়। ৫ থেকে ৬ কোয়া রসুন থেঁতো করে নিন। তারপর সেটা শুধু খেতে পারেন কিংবা স্যুপের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।
২) আদা- রসুনের মতোই আদাও খুবই উপকারী একটি ঘরোয়া উপাদান। অনেকরকমের রোগ প্রতিরোধ করতে আদা খুব উপকারী। জ্বর কমাতে এক কাপ আদা সেদ্ধর রসে মধু মিশিয়ে খান। তত্‌ক্ষণাত্‌ ফল পাবেন।
৩) দারুচিনি- গলা ব্যথা, ঠান্ডা লাগা, কফ সারাতে দারুচিনি খুবই উপকারী। এতে অ্যান্টি ফাংগাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান রয়েছে। ১ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ৩ দিন ২ থেকে ৩ বার খান।
৪) তুলসী পাতা- ছেলেবেলা থেকেই জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, ব্রঙ্কাইটিস, ম্যালেরিয়া এবং আরও অনেক রোগের উপশমকারী উপাদান হিসেবে তুলসী পাতার রসের কথা আমরা জেনে এসেছি। এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিবায়োটিক এবং আরও অনেক উপাদান রয়েছে। ৮ থেকে ১০টি তুলসী পাতা ভালো করে জলে ধুয়ে নিন। তারপর গরম জলে বেশ কিছুক্ষণ ধরে পাতাগুলি ফোটান। সেই ফোটানো জল ১ কাপ করে রোজ খান।
৫) ধনে বীজ- বিভিন্ন রান্নায় আমরা ধনে বীজ হর-হামেশাই ব্যবহার করে থাকি। যে কোনও রান্নায় আলাদা স্বাদ যোগ করে এটি। শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ানোই নয়, ভাইরাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে এটি খুবই উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এটি সাহায্য করে।

Comments

Popular posts from this blog

Buet Engineering Admission Test Question with Solve

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের অনলাইনে আবেদনের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

National University Honours admission Result 2015-2016