এই তীব্র শীতেও ঘর উষ্ণ রাখার উপায় জেনে নিন!


তীব্র শীতের কারনে লেপ কাঁথার নিচ থেকে বের হতেও ইচ্ছা করে না। কাজ ফেলে অলসদের সর্দার হওয়ায় তখন একমাত্র কাজ। তাই বলে এভাবে কি আর দিন চলে? পুরো ঘরটায় যদি গরম করা যায় তবে সমস্যা সমাধান। স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করা যাবে, শীতের কষ্টও পোহাতে হবে না। জেনে নিন শীতে ঘর উষ্ণ রাখতে সহজ কিছু উপায়।
– এই শীতে ঘর গরম করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন ভারী ও উজ্জ্বল রঙের পর্দা। উজ্জ্বল রঙের পর্দাগুলো যেমন ঘর গরম রাখবে, তেমন ঘরের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে দেবে অনেকখানি।
– দরজা-জানালার ফাঁকা স্থানগুলো বন্ধ করে ফেলুন যত দ্রুত সম্ভব। এসব জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন রাবারের বেল্ট। এটা যেমন শক্ত ও দীর্ঘস্থায়ী তেমন সাশ্রয়ী ও হাল্কা। কিনতে পারবেন পাইকারি ও খুচরা হার্ডওয়ারের দোকান থেকে।
– ঘরে পর্যাপ্ত রোদ ও আলো ঢোকার ব্যবস্থা রাখতে হবে। যদিও শৈত্য প্রবাহে রোদের দেখা মেলা কম তবু বাকি সময়গুলোতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও সূর্যের আলো ঠিকই পাওয়া যায়। দরজা-জানালার পর্দা সরিয়ে রেখে রোদের ছোঁয়া পড়তে দিন আপনার ঘরটিতে।
– ঘরের দেয়ালে লাগিয়ে নিতে পারেন পাতলা ফয়েল কাগজ। আজকাল বিভিন্ন গিফট শপে একটু মোটা কাগজ কিনতে পাওয়া যায়। পছন্দের রঙ ও ডিজাইনের কাগজ লাগিয়ে নিন দেয়ালে।
– জানালা যদি ঘরে রোদ ঢোকার উৎস হয় তাহলে জানালার কাছেই বসিয়ে দিন বড় একটি আয়না। আয়নায় প্রতিফলিত তাপে আরো উষ্ণ হবে আপনার ঘর।
– প্রয়োজনে রুম হিটারও ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ঘরের তাপমাত্রার সাথে মিলিয়ে হিটারের তাপমাত্রা ঠিক করতে ভুলবেন না।
– শীতের সন্ধ্যায় বা রাতে রান্না-বান্নার কাজ চালাতে পারেন। এতে ঘর গরম হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। জানালা দরজা ফাঁকা না থাকলে উষ্ণতা বজায় থাকবে।
– মেঝেতে কার্পেট বা মাদুর বিছিয়ে নিন। বাজারে নানা ধরণের কার্পেটের পাশাপাশি বেত ও পাটের তৈরি আধুনিক ডিজাইনের চাটাইও পাওয়া যায়। কিনে নিতে পারেন সেসবও নিজের ইচ্ছা আর রুচির সঙ্গে মিল রেখে।
– বাড়ির অপ্রয়োজনীয় ও অব্যবহৃত ঘরগুলোর দরজা বন্ধ করে রাখুন। এতে ঘরে শীতের হিমেল বাতাস ঢুকতে পারবে না।

Comments

Popular posts from this blog

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের অনলাইনে আবেদনের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

National University Honours admission Result 2015-2016

Buet Engineering Admission Test Question with Solve