যে ৭টি খাবার এবং ওষুধ একসাথে ভুলেও খাবেন না ।

আপনি কি জানেন সারা পৃথিবীতে কি পরিমাণের মানুষ ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য মারাত্নক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে? পরিসংখ্যানে দেখা গেছে এর সংখ্যা প্রায় ৭.৮ বিলিয়ন ! আরেক গবেষণায় দেখা গেছে বেশির ভাগ ওষুধের সাথে ভুল খাবার খাওয়ার কারণে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে রোগ আরও বেশি বেড়ে যায়। কিছু রোগের সাথে কিছু কিছু খাবার খাওয়া একদমই উচিত নয়। যেমন অ্যাজমা রোগীদের প্রচুর পরিমাণে কফি পান করা উচিত নয়, তেমনি প্রেশারের রোগীদের লবণ এবং লবণ জাতীয় খাবার কম খাওয়া উচিত।
১। কলা এবং রক্তচাপ সম্পর্কযুক্ত ওষুধ –
আপনি যদি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ খেয়ে থাকেন, তবে পটাশিয়াম যুক্ত ফল কম পরিমাণে খাওয়া উচিত। কলা পটাশিয়ামের অনেক ভাল উৎস। রক্তচাপের ওষুধের সাথে কলা কম খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত কলা খাওয়া হার্ট বিট বৃদ্ধি করে বুক ধড়ফড় বাড়িয়ে দিয়ে থাকে।
২। অ্যালকোহল এবং পেইনকিলার –
আপনি যদি ডায়াবেটিস, অ্যানথিস্টামিনস অথবা অন্য কোন পেইন কিলার খেয়ে থাকেন তবে অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকুন। এই ওষুধগুলোর সাথে আপনি যখন অ্যালকোহল পান করবেন, তখন লিভারের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাবে। অ্যালকোহল শরীরের মিশিয়ে নিতে লিভারকে অনেক বেশি কাজ করতে হয়। লিভারের এই অতিরিক্ত কাজ করার জন্য শরীরে অভ্যন্তরীণ কোন অঙ্গও হানি হতে পারে।
৩। সবুজ শাক সবজি এবং অ্যান্টিকোঅ্যাগুলান্টস –
রক্ত ঘন অথবা রক্ত বৃদ্ধি করার সবচেয়ে ভাল এবং কার্যকরী উপায় হল শাক সবজি যেমন পালং শাক, ব্রকলি ইত্যাদি খাবার খাওয়া। এই সবজিগুলোতে ভিটামিন কে রয়েছে যা রক্ত পরিষ্কার করে ঘন করতে সাহায্য করে। কিন্তু আপনি যদি রক্ত বৃদ্ধি করার ওষুধ খেয়ে থাকেন তবে শাক সবজি খুব বেশি পরিমাণে না খাওয়াই ভাল।
৪। যষ্টিমধু এবং হার্টের ওষুধ –
আপনি যদি হার্টের রোগী হয়ে থাকেন, তবে যষ্টিমধু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই খাবারটি রক্তে পটাশিয়াম পরিমাণ হ্রাস করে দেয়। পটাশিয়াম লেভেল কমে যাওয়ার কারণে রোগী দূর্বলবোধ করে এবং হার্টবিট অনিয়মিত হয়ে পড়ে।
৫। জাম্বুরা এবং স্টায়াটিন –
জাম্বুরায় থাকা উপাদানগুলো শরীরের স্টায়াটিন ভেঙ্গে দিয়ে থাকে। এটি রক্তচাপ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। তাই প্রেশারের রোগীদের জাম্বুরা একটি সীমা পর্যন্ত খাওয়া উচিত।
৬। দুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক –
কিছু অ্যান্টিবায়োটিক যেমন টেট্রাসাইক্লিন, কিপ্রোফ্লোক্সাসিন এবং অস্টিওপরোসিস সমৃদ্ধ কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে দুধ খাওয়া উচিত নয়। এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর সাথে দুধ পান করলে অনেক সময় এইগুলো ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে এর কার্যকারিতা কমে যায়।
৭। লেবু এবং কাশির ওষুধ –
ডেক্সথ্রোমেথফেইন জাতীয় কাশির ওষুধের সাথে লেবু জাতীয় ফল খাওয়া উচিত নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড এই ওষুধের সাথে মিশিয়ে আপনাকে আরও বেশি ক্লান্ত, তন্দ্রালু করে তুলবে।

Comments

Popular posts from this blog

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের অনলাইনে আবেদনের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

National University Honours admission Result 2015-2016

Buet Engineering Admission Test Question with Solve