বিশ্ববিখ্যাত
বক্সিং কিংবদন্তি
মোহাম্মদ আলীর
মৃত্যুতে পুরো
বিশ্ব আজ
শোকাহত। ছোটবেলায়
সাদা-কালো
টেলিভিশনে মোহাম্মদ আলীর হৃদয়ে ঝড়
ওঠা বক্সিং
দেখেননি এমন
মানুষ খুঁজে
পাওয়া খুব
কঠিন। শুধু
বক্সিং নয়
মানবতার স্বার্থে
ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরোধিতার
জন্যও মোহাম্মদ
আলী শ্রেষ্ঠ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক
কাবেরী গায়েন
তার ফেসবুকে
স্ট্যাটাসে লিখেছেন: আমার কাছে তিনি
শ্রেষ্ঠ তার
ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরোধী
অবস্থানের জন্য।
তিনি সেসময় আলীর
বক্সিং নিয়ে
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে লিখেছেন, ১৯৮০
সাল। তখনো
আমাদের বাসায়
টেলিভিশন আসেনি।
শুনলাম মোহাম্মদ
আলী নামে
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ
বক্সারের 'ফাইট' হবে এক নতুন
ছেলের সাথে।
পাবনা সদর
গার্লস স্কুলের
বিপরীত দিকে
তখন জেলা
সমবায় ব্যাংক।
ওখানেই আয়োজন
করে খেলা
দেখানো হবে।
গিয়ে দেখি
ভীষণ ভিড়।
কোনরকমে এক
কোণায় একটু
জায়গা হলো।
ঘেমে-নেয়ে দেখলাম
এক রাগী
তরুণ একজন
অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে
তুলোধুনো করে
দিলেন। আলী
টিকতেই পারলেন
না। সেই
তরুণের নাম
সম্ভবত ল্যারি
হোমস। অনেককেই
কাঁদতে দেখে
আমার চোখেও
জল এলো।
আমার এখনো
সেদিনের কথা
মনে হলে
খুব খারাপ
লাগে। এ
কেমন খেলা?
একজন আরেকজনকে
মারবে এভাবে?
খুব রেগেছিলাম
ল্যারির উপর।
অনেক পরে
ল্যারিও হেরেছেন
শুনেছি আর
কারো কাছে।
কাবেরি গায়েন আরো
লিখেছেন, আমি
এই খেলাটাকে
সেই দিনের
স্মৃতির কারণেই
কোনদিন ভালোভাবে
নিতে পারিনি।
আসলে, যখন
থেকে এই
খেলা দেখেছি
তখন আলীর
পড়ন্ত কাল।
জেনেছি তিনি
সবকালের সেরা
বক্সার। কতো
কিংবদন্তি তাকে ঘিরে!
যেহেতু এই খেলা
আমি কোনদিন
মন থেকে
নিতেই পারিনি
সেই ছোটবেলা
থেকে, তাই
এই খেলায়
কে বড়
আর শ্রেষ্ঠ-
তা'তে
আমার কিছুই
যায় আসে
না। কিন্তু
সাদাদের জগতে
একজন কালো
শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ের
প্রতি ব্যবহারের
যে প্রতিবাদ
তিনি করেছেন,
সেই প্রতিবাদ
খুব সুন্দর।
আমার কাছে
তিনি শ্রেষ্ঠ
তার ভিয়েতনাম
যুদ্ধবিরোধী অবস্থানের জন্য।
তার স্মৃতির প্রতি
সম্মান জানাই।
একই সাথে
নাকে, মুখে,
মাথায় আঘাত
করে পয়েন্ট
পাওয়ার এই
অমানবিক খেলাটি
পৃথিবী থেকে
উঠে যাক,
সেটাও চাই।
Abvi GKwU K_v
evsjvi gvbyl †K A‡bK eo K‡i w`‡qwQj| wZwb e‡jwQ‡jb ¯^M© †`L‡Z PvB‡j evsjv‡`‡k
hvI|
No comments:
Write comments